BD-Bank:ব্যাংকের স্বচ্ছতা দাবি করে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
ঢাকা প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ ব্যাংকের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছেন। তাদের অভিযোগ, এই দুই ডেপুটি গভর্নর বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজস করে ব্যাংক লুটপাটে সহায়তা করেছেন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একবার এই দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের পুনর্নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। তারা মনে করেন, এই দুই ব্যক্তি ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা বিঘ্নিত করছেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গেও দেখা করেছেন এবং তাদের দাবিগুলো জানিয়েছেন। তারা দাবি করেন, যতক্ষণ না এই দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকবে।

ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে এই বিক্ষোভ করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, আগের সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নরসহ অনেক কর্মকর্তা ব্যাংক লুটপাটে জড়িত। এই কর্মকর্তারা এখনো ব্যাংকে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছেন, যার ফলে ব্যাংক খাতের সংস্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, এই দুই ডেপুটি গভর্নরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং ব্যাংক লুটপাটে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, “গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, তা সবার সামনেই। যারা এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। সাবেক সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং এই দুই ডেপুটি গভর্নররা সেই কাজে সহায়তা করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে ব্যাপক সংস্কার চাই। কিন্তু আগের সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া অনেক কর্মকর্তা এখনো তাদের ক্ষমতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া দুই ডেপুটি গভর্নরকে অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত।”

ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশনস বিভাগের পরিচালক মো. বায়েজিদ সরকার বলেন, “আমরা আগেই দাবি করেছিলাম যে, আগের সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া সবাইকে ধীরে ধীরে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এই দাবি এখনো পুরোপুরি মেনে নেওয়া হয়নি।”

পরিসংখ্যান বিভাগের পরিচালক মো. আনিস উর রহমান বলেন, “বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সংস্কার দেখা যায়নি। কারণ, এসব ব্যাংকে যাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ছিলেন।

সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি