হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত হন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে বলছে, সিনওয়ারের মৃত্যু একটি চুক্তির পথ খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরী করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, সংগঠনটির দোহাভিত্তিক একটি প্রতিনিধিদল গতকাল কায়রোতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে।
তার বক্তব্য মতে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই হামাস যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হবে । তাদের দাবি, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়লের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ফেরার সুযোগ দিতে হবে, বন্দিবিনিময় চুক্তিতে রাজি হতে হবে এবং গাজায় বিভিন্ন সংস্থা হতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
হামাসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরো জানান, মিসরের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই যুদ্ধবিরতির আলোচনা আবার শুরুর জন্য কায়রোয় সবশেষ বৈঠকের আয়োজন হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজার জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিসরের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কায়রোর সেই আলোচনা বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার (মোসাদের) প্রধানকে আগামী রবিবার কাতারে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর উদ্দেশ্য, আলোচনায় থাকা বিভিন্ন উদ্যোগকে সামনে নিয়ে আসা।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার বলেছে, কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
গত বছরের ৭ ই অক্টোবর গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয় ইসরায়েলের ওপর প্রাণঘাতী হামলার মাধ্যমে। হামাসের করা সেই হামলায় প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ধর্ষিত হন। প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় বন্দি বানানো হয়। এই হামলার প্রতিউত্তরে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৮৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
সিলেট ২৪ বাংলা/বিডিবি